নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরীর পলাশপুর এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন, দেহতল্লাশি ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নয়ন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে পুলিশের ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নয়ন অধিকাংশ সময়ই কাউনিয়া থানার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলছে। তল্লাশির নামে মানুষের শরীর তল্লাশি, অর্থ, মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী মারুফ নামে এক তরুণ জানান, “নয়নসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে রাস্তায় আটকায়। আমার কাছে মাদক আছে বলে অপবাদ দেয়। কিন্তু কিছু না পেয়ে উল্টো আমার কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়।”
অন্য এক ভুক্তভোগী আমিন বলেন, “আমি ফুফাতো ভাইয়ের বাসা থেকে ফেরার পথে নয়ন ও তার ১০/১২ জনের একটি দল আমাকে আটকায়। চারজন মিলে আমার পকেটে হাত দিয়ে দেহতল্লাশি করে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা প্রথমে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেয়। পরে একটি কালো পলিথিনে মোড়ানো বস্তু দেখিয়ে বলে এটা আমার কাছে পাওয়া গেছে। না মানলে নাকি আমাকে চালান দেবে। একপর্যায়ে ভিডিও করতে থাকে এবং আমার সাথে থাকা টাকা-পয়সা নিয়ে নেয়।”
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, তল্লাশি করার ক্ষমতা শুধুমাত্র পুলিশ ও আদালতের অনুমোদিত কর্মকর্তাদের রয়েছে সাধারণ নাগরিক কোনোভাবেই অন্যকে তল্লাশি করতে পারে না। তবে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ অনুযায়ী, কেউ অপরাধ সংঘটন করতে দেখলে নাগরিক গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে পারেন। কিন্তু দেহতল্লাশি বা ব্যক্তিগত সামগ্রী জব্দ করার ক্ষমতা তাদের নেই।
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ওসি নাজমুল নিশাত বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে। ইতোমধ্যে কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নয়নের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক প্রতারণার অভিযোগ উঠলেও এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তারা দ্রুত নয়ন ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। পরবর্তী পর্বে নয়নের অপকর্মের বিশদ তথ্যসহ সংবাদ প্রকাশিত হবে।
https://slotbet.online/