ডেস্ক নিউজ|| ২০/১০/২০২৫
বিচার বিভাগের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সুশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে বরিশাল জেলা আদালতের নয়জন কর্মচারীকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই ব্যাপক রদবদলের নির্দেশনা জারি করা হয়। আদেশ অনুযায়ী, আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে এটি কার্যকর হবে।
অফিস আদেশে জানানো হয়, এই বদলি পদক্ষেপ আদালতের প্রশাসনিক কাঠামোকে শক্তিশালী করা, সেবার মান উন্নয়ন এবং বিচার কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
বদলিকৃতদের মধ্যে রয়েছেন—
বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. বায়েজিদ আল মামুন, যাকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ফয়সাল হোসেন বদলি হয়েছেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে।
যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সোহেল রানাকে বদলি করা হয়েছে বাকেরগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে হিসাব সহকারী হিসেবে।
বাকেরগঞ্জের হিসাব সহকারী মো. ইব্রাহিম খলিল গেছেন উজিরপুরে নাজির পদে।
একই উপজেলার হিসাব সহকারী মো. শাহ ওসমান সাদ গেছেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালতে।
উজিরপুর সহকারী জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আহসান তারেক বদলি হয়েছেন বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে।
যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মারুফ আহমেদ গেছেন ৩য় আদালতে।
৩য় আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ইমাম হাসান গেছেন বাকেরগঞ্জে।
উজিরপুরের নাজির মো. কবির হোসেন বদলি হয়েছেন বানারীপাড়া সহকারী জজ আদালতে।
বানারীপাড়ার নাজির মো. রফিকুল ইসলাম গেছেন উজিরপুরে বেঞ্চ সহকারী পদে।
বরিশাল জেলা আদালতের নাজির সৈয়দ মাইনুল হাসান বলেন, “জনস্বার্থে ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যই একসঙ্গে ৯ জন কর্মচারীর বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে বিচারপ্রার্থীদের সেবা আরও দ্রুত ও সহজলভ্য হবে।”
অফিস আদেশের অনুলিপি ইতিমধ্যে বরিশাল সদর, উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ ও বানারীপাড়া আদালতসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, বরিশাল আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জে’ অনুমোদনহীনভাবে খাবার হোটেল স্থাপনের ঘটনাটি আলোচনায় এসেছে নতুন করে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে পাঠিয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি জায়গায় আদালত-সংলগ্ন এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনা অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলার বিষয়টি গুরুতর প্রশাসনিক অনিয়ম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে এ বিষয়ে উচ্চ আদালত পরবর্তী নির্দেশনা দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আদালত প্রশাসনের এই রদবদল এবং তদন্ত প্রতিবেদন—উভয় পদক্ষেপই বরিশাল জেলার বিচারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
https://slotbet.online/