নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিবর্তনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। দীর্ঘদিনের জড়াজীর্ণ অবস্থা কাটিয়ে মাত্র এক হাজার টাকার ভাড়ায় চালু করা হয়েছে আধুনিক মানের ২২টি কেবিন। মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর এই কেবিন ব্লকটির উদ্বোধন করেন। একই সময়ে হাসপাতালের সামনের মাঠে নির্মিত দুইটি দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারাও উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে পরিচালক জানান, সরকারি হাসপাতালে এখন শুধু নিম্নবিত্ত নয় মধ্য ও উচ্চবিত্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় সামলানো ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে, তাই সরকারি হাসপাতালে আধুনিক সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ধারাবাহিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই নির্মিত হলো এই আধুনিক মানের কেবিন ব্লক। প্রতিটি কেবিনে রয়েছে উন্নতমানের টাইলসসহ আকর্ষণীয় সাজসজ্জা, নতুন বেড, সোফা, এসি, অক্সিজেন ব্যবস্থা, চেয়ার-ক্যাবিনেট, জামাকাপড় রাখার র্যাক, ওয়াটার হিটার, কাঁচের গ্লাসসহ প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক সুবিধা। টয়লেটেও রয়েছে বেসিন, হাই কমোড, টিস্যু এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। বিলাসবহুল কেবিনের ভাড়া ১০০০ টাকা, এবং রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা পথ্য বিল প্রযোজ্য।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দেশের অন্য কোন সরকারি হাসপাতালে নেই এমন বড় খোলা মাঠ রয়েছে। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে আরো নান্দনিক করতে সামনের মাঠে নির্মিত হয়েছে নতুন দুইটি পানির ফোয়ারা। আধুনিকায়নের এই ধারা পর্যায়ক্রমে ফুলের বাগান, লেক, হাঁটার পথসহ সৌন্দর্য বর্ধনের আরও পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে অনুরোধ জানান এবং পান-চুন-ডাবের খোসা ফেলে পরিবেশ নোংরা না করার আহ্বান করেন।
পুরোনো কেবিনগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন অভিযোগ ছিল। ভাঙা টাইলস, ক্ষতিগ্রস্ত দরজা-জানালা, ছাদের পলেস্তারা উঠে যাওয়া, এমনকি কিছু কেবিনে টয়লেটের দরজাও ছিল না। এই সমস্যাগুলো সমাধানে গত জুনে আধুনিকায়ন পরিকল্পনা নেয় হাসপাতাল। প্রথম পর্যায়ে পঞ্চম তলার এ ব্লকের ২২টি কেবিন নতুনভাবে রূপান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুরোনো মেডিসিন ভবনকে আউটডোরে রূপান্তর, তিনশ বেড যুক্ত করা এবং ইনডোর সেবা উন্নয়নের কাজও চলমান রয়েছে।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন বাবলু, উপ-পরিচালক ডা. নজমুল আহসান, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মাহামুদ হাসান, সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভাণ্ডার) ডা. আবদুল মুনায়েম সাদসহ চিকিৎসক-নার্স এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
https://slotbet.online/
https://shorturl.fm/fRgbz