স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা, ১৪ আগস্ট ২০২৫
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি বা হয়রানিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে
সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’
এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত আইনে এসব অপরাধের জন্য দোষী ব্যক্তিকে অপরাধের মাত্রাভেদে এক থেকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা, কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা অন্য কোনো ব্যক্তি ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করে সাংবাদিককে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না। পেশাদার কোনো সাংবাদিকের বাসায় বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করাও নিষিদ্ধ থাকবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন—এ প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। অংশীজনের মতামত গ্রহণের পর খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
খসড়ার উল্লেখযোগ্য ধারা সমূহ:
• ধারা ৩: সাংবাদিকদের সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়া সরকারের ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
• ধারা ৪(২): সাংবাদিকের জীবন, স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ; অবৈধ তল্লাশি ও সম্পদ জব্দ করা যাবে না।
• ধারা ৫(১): পেশাগত দায়িত্ব পালনে ভয়ভীতি বা চাপমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে; যৌন হয়রানি প্রতিরোধে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।
• ধারা ৬: গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নিজস্ব কর্মপরিবেশে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
• ধারা ৭: সরল বিশ্বাসে তথ্য প্রকাশ করলে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, যদি ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হয়।
• ধারা ৮: সহিংসতার শিকার সাংবাদিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিখিত, অনলাইন বা প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন, যা ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।
এছাড়া, মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
https://slotbet.online/