নিয়াজ শেখ: যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি সেনাঘাঁটিতে বন্দুকধারীর গুলিতে পাঁচজন সেনাসদস্য আহত হয়েছেন। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে (গ্রিনিচ মান সময় ১৫৩৫) ফোর্ট স্টুয়ার্ট হান্টার আর্মি এয়ারফিল্ডে (FSHAAF) এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে ঘটনাস্থলেই আটক করেছে কর্তৃপক্ষ।
ফোর্ট স্টুয়ার্ট কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “সব সেনাসদস্যকে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উইন আর্মি কমিউনিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের জন্য কোনো হুমকি নেই।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দ্বিতীয় সাঁজোয়া ব্রিগেড কমব্যাট দলের (2ABCT) পুরো এলাকাটি এখনো লকডাউনে রাখা হয়েছে। তদন্ত চলমান থাকায় ঘটনার বিস্তারিত আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না বলেও জানানো হয়েছে।
এ ঘটনায় হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। এক্স (পূর্বতন টুইটার) এ তিনি লেখেন, “হোয়াইট হাউস পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।”
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকেও অবহিত করা হয়েছে এবং তিনি নিজেও এক্সে জানিয়েছেন, “আমরা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”
সেনাবাহিনীর সচিব ড্যান ড্রিসকল গুলিবিদ্ধ সেনাদের জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সন্দেহভাজন আটক রয়েছে এবং তদন্ত চলছে। আমার টিম ফোর্ট স্টুয়ার্টের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে এবং প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”
জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান কেম্প বলেন, তার কার্যালয় স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলেছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা আহত সেনাদের এবং তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি। একইসঙ্গে জর্জিয়ার সকল নাগরিককে এই কঠিন সময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”
এফবিআইয়ের আটলান্টা কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত এবং সেনাবাহিনীর অপরাধ তদন্ত বিভাগের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করছে।
উল্লেখ্য, ফোর্ট স্টুয়ার্ট হচ্ছে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি, যেখানে তৃতীয় পদাতিক ডিভিশনের সদস্যদের মোতায়েন ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ঘাঁটিটি সাভানা শহর থেকে প্রায় ৬৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
এই ঘটনায় সেনা ঘাঁটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
https://slotbet.online/