অনলাইন ডেস্ক: ৬ আগস্ট ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির দিন কক্সবাজারে ব্যক্তিগত সফরে যাওয়ার অভিযোগে দলীয় কারণ দর্শানোর নোটিস পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর পাঁচ শীর্ষ নেতা। অনুমতি না নিয়ে সফরে যাওয়ায় এনসিপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক নোটিসে বলা হয়, ৫ আগস্ট রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসের দিন নেতারা দলকে অবহিত না করে কক্সবাজারে যান। এতে বলা হয়, “গত ৫ অগাস্ট জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে আপনি ও দলের আরও চারজন সদস্য ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজার গিয়েছেন। এই সফর সংক্রান্ত কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা রাজনৈতিক পর্ষদের নিকট পূর্বে অবগত করা হয়নি।”
নোটিসপ্রাপ্ত পাঁচ নেতা হলেন—এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, তার স্ত্রী ও দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ এবং মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী।
নোটিসে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে যখন জুলাই অভ্যুত্থান উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি চলছিল, তখনই খবর আসে এনসিপির এই পাঁচ নেতা কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। কক্সবাজার বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, সেদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তারা কক্সবাজার পৌঁছান।
পরে সামাজিক মাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে, ইনানীর ‘সীপার্ল রিসোর্ট এন্ড স্পা’ হোটেলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। যদিও বিষয়টি এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ভুয়া খবর। আমরা এখানে পিটার হাস কিংবা অন্য কারো সাথে কোন মিটিং করিনি। এমনকি পিটার হাসের সঙ্গে আমাদের দেখাও হয়নি। আমরা কয়েকজন এখানে ঘুরতে এসেছি।”
তবে এই সফরকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে ইনানীর ওই হোটেলের সামনে শতাধিক স্থানীয় ব্যক্তি বিক্ষোভ করেন। তারা নেতাদের সফর ও কথিত বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এই সফর নিয়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। দলটির অভ্যন্তরে মতবিরোধের ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে এই ইস্যু ঘিরে এনসিপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
https://slotbet.online/