ডেস্ক নিউজ:
বরিশালের মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় শীর্ষে থাকা চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. রাসেল হালদার ওরফে রাসেল মেম্বারের প্রভাবশালী জীবন এবার থামল পুলিশের হাতে। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে মাদক বাণিজ্যে জড়িত এ ব্যক্তিকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে ছিল ভীতি ও ক্ষোভ। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা আর অর্থের জোরে সে এলাকায় একপ্রকার অঘোষিত ‘ক্ষমতাধর’ হয়ে ওঠে।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর রাসেল প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা শুরু করে। মাদক কারবারে সক্রিয় থেকে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে সে ও তার দলবল। বরিশালের বর্তমান পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাসেলকে ধরতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছিলেন গোয়েন্দারা। রাসেল পুরো এলাকার বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে তার মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো যে কারনে থানা পুলিশসহ গোয়েন্দা পুলিশের খানিকটা বেগ পেতে হয় রাসেলকে আটক করতে। তবে কথায় আছে চোরের দশদিন গৃহস্তের একদিন। শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দা জালে আটক রাসেল।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চরবাড়িয়া গাজীর খেয়াঘাট সংলগ্ন একটি বিল থেকে তাকে ডিবি পুলিশ আটক করে। এ সময় তার তিন সহযোগী—মো. রাব্বি সরদার (২৪), মো. মামুন ফকির (২৫) ও মো. শাওন বেপারী (২৫)—ও ধরা পড়ে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র ও ৩৮০ পিস ইয়াবা।
উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) সুশান্ত সরকার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অভিযানের আগে গোয়েন্দা দল রাসেলের বাড়ির আশপাশ ঘিরে রাখে। উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালানোর চেষ্টা করলে ইন্সপেক্টর সগীরের নেতৃত্বে থাকা পুলিশ দল ধাওয়া দিয়ে আটক করে। তবে ‘ল্যাপটপ বাবু’সহ কয়েকজন সহযোগী এখনও পলাতক। তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ছাড়াও রাসেলের কাছে একটি অবৈধ আগ্নেআস্ত্র থাকার তথ্য ছিলো পুলিশের কাছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং পরবর্তী পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে।
https://slotbet.online/