• শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নতুন নেতৃত্বে চার বিভাগ — বদলে গেল বরিশাল প্রশাসনের চিত্র। দেড় যুগের মাদক ব্যবসার অবসান — কাউনিয়ায় আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী শিল্পী আটক, বিপুল অর্থ–ইয়াবা, গাঁজা এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার। নতুন রূপে শের-ই-বাংলা মেডিকেল — উদ্বোধন হলো ২২টি আধুনিক কেবিন। বিএনপির প্রথম দফা প্রার্থী তালিকায় বরিশাল বিভাগে ১৬ জন ক্যামেরা লেন্সই তার ভাষা — বরিশালের তরুণ ফটোগ্রাফার অর্নব দত্তর সাফল্যের গল্প। ফরচুন সুজের চেয়ারম্যানের ভাইসহ গ্রেপ্তার ৩ : কোটি টাকার পণ্য আত্মসাতের চেষ্টা। সরকারি চাকরিতে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা ও মিথ্যা মামলার অভিযোগে বিতর্কে শিক্ষক ঈষিতা দে রাউজানে বিএনপি কর্মীর বাড়িতে র‍্যাবের অভিযান: বন্দুক-কার্তুজসহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩ বরিশাল নগরীতে ফের সক্রিয় কিশোর গ্যাং। বরিশাল নগরীতে আবারও বেপরোয়া কিশোর গ্যাং।

পিরোজপুরে তোপের মুখে শেখ মুজিবের ছবি নামালেন সেই প্রধান শিক্ষিকা

প্রতিনিধি / ৬৩ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

অবশেষে তোপের মুখে পিরোজপুরের নেছারাবাদের সোনারগোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়ালে সাটানো শেখ মুজিবের সেই ছবি সরিয়ে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা শামিমা ইয়াছমিন।

রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দীনের ফোন পেয়ে ছবিটি সরিয়ে নেন প্রধান শিক্ষিকা শামিমা ইয়াছমিন।

তিনি দেয়াল থেকে ছবি নামিয়ে চিলেকোঠায় রেখে দিয়েছেন বলে  জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামিমা ইয়াছমিন বলেন, বিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানোর জন্য আমার কাছে সরকারি কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই আমি ছবি সরাতে যাইনি। মূলত বিদ্যালয় এলাকার একটি মহল সকালে বিদ্যালয় এসে দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তখন তিনি আমাকে ছবিটি সরাতে বললে আমি বলেছিলাম সরকারি কোনো নির্দেশনা না পেলে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরাবো না। পরে বিকেলে শিক্ষা অফিস থেকে ফোন পেয়ে ছবিটি আমি নিজের হাতে নামিয়ে বিদ্যালয়ের একটি আলমারির চিলে কোঠায় রেখে দিয়েছি।

সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দীন বলেন, দেশের পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার সব বিদ্যালয় থেকে শেখ মুজিবর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে। তবে ছবি সরানোর জন্য সরকারি কোনো নির্দেশনা নেই। বিষয়টি আমি জানতে পেরে ওই শিক্ষিকাকে বলার পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলেছেন।

এর পূর্বে দুপুরে বিদ্যালয়ের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে আমার পিতা মইনউদ্দীন মাস্টার মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। সেই যুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হত না। তাই আমার বিদ্যালয় থেকে এই ছবি সরাতে পারবো না এমনভাবে মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে ‘আমার বিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামতে পারবো না’ শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ নিয়ে উপজেলার রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/