• শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নতুন নেতৃত্বে চার বিভাগ — বদলে গেল বরিশাল প্রশাসনের চিত্র। দেড় যুগের মাদক ব্যবসার অবসান — কাউনিয়ায় আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী শিল্পী আটক, বিপুল অর্থ–ইয়াবা, গাঁজা এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার। নতুন রূপে শের-ই-বাংলা মেডিকেল — উদ্বোধন হলো ২২টি আধুনিক কেবিন। বিএনপির প্রথম দফা প্রার্থী তালিকায় বরিশাল বিভাগে ১৬ জন ক্যামেরা লেন্সই তার ভাষা — বরিশালের তরুণ ফটোগ্রাফার অর্নব দত্তর সাফল্যের গল্প। ফরচুন সুজের চেয়ারম্যানের ভাইসহ গ্রেপ্তার ৩ : কোটি টাকার পণ্য আত্মসাতের চেষ্টা। সরকারি চাকরিতে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা ও মিথ্যা মামলার অভিযোগে বিতর্কে শিক্ষক ঈষিতা দে রাউজানে বিএনপি কর্মীর বাড়িতে র‍্যাবের অভিযান: বন্দুক-কার্তুজসহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩ বরিশাল নগরীতে ফের সক্রিয় কিশোর গ্যাং। বরিশাল নগরীতে আবারও বেপরোয়া কিশোর গ্যাং।

সরকারি চাকরিতে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা ও মিথ্যা মামলার অভিযোগে বিতর্কে শিক্ষক ঈষিতা দে

প্রতিনিধি / ৯৯ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

বরিশাল, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ || সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকী ঈষিতা দে–এর কর্মকাণ্ডকে ঘিরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারি চাকরিতে থেকে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগীরা।

সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি ঈষিতা দে তৎকালীন যুবলীগ নেতা খান মামুনের বাসভবনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। একই দিনে তিনি জনসভায় উপস্থিত থেকে স্লোগান ও প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে ওই কার্যক্রমের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন তিনি। সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি ১৯৭৯-এর ২৫(৩) ধারা এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর নির্বাচনী কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, ঈষিতা দে নির্বাচনী সময়ে প্রশাসনিক প্রভাব ব্যবহার করে তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে করা হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।

অন্যদিকে, ঈষিতা দে–এর স্বামী শুভ্র প্রকাশ দে, যিনি জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা, তাকেও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবী হয়েও দম্পতির এমন কর্মকাণ্ডকে নৈতিকতার পরিপন্থী বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

তদন্তে জানা গেছে, মামলা নং সিআর ২০২০/২০২৪ অনুসন্ধানে পুলিশ কোনো প্রমাণ পায়নি। তবে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন, প্রভাবশালী প্রশাসনিক অবস্থান এবং রাজনৈতিক সংযোগ ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে ও নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা ইতোমধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে পুনরায় অভিযোগ দাখিল করেছেন। তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি ও নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি যাচাই এবং মিথ্যা মামলা দায়েরের পেছনের উদ্দেশ্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।

তাদের প্রত্যাশা—প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবে এবং সরকারি চাকরিজীবীর নিরপেক্ষতা ও পেশাগত নীতিমালা রক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/