• শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নতুন নেতৃত্বে চার বিভাগ — বদলে গেল বরিশাল প্রশাসনের চিত্র। দেড় যুগের মাদক ব্যবসার অবসান — কাউনিয়ায় আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী শিল্পী আটক, বিপুল অর্থ–ইয়াবা, গাঁজা এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার। নতুন রূপে শের-ই-বাংলা মেডিকেল — উদ্বোধন হলো ২২টি আধুনিক কেবিন। বিএনপির প্রথম দফা প্রার্থী তালিকায় বরিশাল বিভাগে ১৬ জন ক্যামেরা লেন্সই তার ভাষা — বরিশালের তরুণ ফটোগ্রাফার অর্নব দত্তর সাফল্যের গল্প। ফরচুন সুজের চেয়ারম্যানের ভাইসহ গ্রেপ্তার ৩ : কোটি টাকার পণ্য আত্মসাতের চেষ্টা। সরকারি চাকরিতে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা ও মিথ্যা মামলার অভিযোগে বিতর্কে শিক্ষক ঈষিতা দে রাউজানে বিএনপি কর্মীর বাড়িতে র‍্যাবের অভিযান: বন্দুক-কার্তুজসহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩ বরিশাল নগরীতে ফের সক্রিয় কিশোর গ্যাং। বরিশাল নগরীতে আবারও বেপরোয়া কিশোর গ্যাং।

বরিশাল প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে জাল তথ্য দিয়ে লোন: দায় এড়াতে সেকেন্ড অফিসারকে ফাঁসানোর অভিযোগ!!

প্রতিনিধি / ৮৬৫ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বরিশাল, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫:
বরিশাল প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে জাল তথ্য দিয়ে ঋণ বিতরনকে ঘিরে  তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্যকর বির্তকের। অভিযোগ উঠেছে—জাল তথ্য ব্যবহার করে ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি এক ব্যক্তি দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার ঋণ অনুমোদন করিয়ে নেয় তদন্তের স্বার্থে এই মূর্হুর্তে গ্রাহকের নাম অপ্রকাশের করা হলো না। মজার বিষয় গ্রাহক নিজেও জানে না তার ব্যক্তিগত তথ্যের বিপরীতে ব্যাংকে থেকে লোন নেয়া হয়েছে।  ঘটনার আট মাস পর গ্রাহক অন্য ব্যাংকে থেকে লোন নিতে গিয়ে জানতে পারে তার নামের বিপরীতে প্রবাসী কল্যান ব্যাংকের বরিশাল শাখা থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে এবং সে একজন ঋণখেলাপি। বিষয়টি তাৎক্ষনিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে নড়েচড়ে বসে ব্যাংক কতৃপক্ষ।  দায় এড়াতে এবং ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন নানা কৌশল অবলম্বন করে।
শাখার সেকেন্ড অফিসার তামান্না আফরিন এর অভিযোগ অনুযায়ী, শাখা ব্যবস্থাপক ইচ্ছাকৃতভাবে দায় চাপাতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তিনি জানান, ব্যবস্থাপক জসিম ব্যাংকের করনিক রিপন মন্ডলকে একপ্রকার চাপ দিয়ে একটি লিখিত বিবৃতি আদায় করেন, যেখানে তামান্নাকে  জড়িয়ে সুপরিকল্পিত অভিযোগ সাজানো হয়।
তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, করনিক রিপন গত শনিবার তামান্না আফরিন এর সঙ্গে ফোনালাপে নিজের অপকর্মের স্বীকারোক্তি দেন ও এই ধরনের ঘটনা এই শাখায় অহরহ ঘটে বলে জানায়। রিপনে স্বীকারক্তির অডিও ক্লিপ ইতোমধ্যেই স্থানীয় সাংবাদিকদের হাতে পৌঁছেছে।ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তামান্না আফরিন স্বামী মামুন স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সামনে স্ত্রীকে নির্দোষ প্রমাণের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এসময় করনিক নিজেও দোষ স্বীকার করে নেন এবং তামান্না আফরিনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানান।
তবে আইনগতভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অবৈধভাবে লোন অনুমোদন প্রক্রিয়ায় শাখা ব্যবস্থাপক, সেকেন্ড অফিসার তামান্না আফরিনসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা দায়মুক্ত থাকতে পারছেন না। এমনকি দায় এড়াতে পারছেন না ব্যাংকের অঞ্চল প্রধানও। ব্যাংক কর্মকর্তা যদি জেনে বা অবহেলায় জাল কাগজের বিপরীতে ঋণ অনুমোদন করেন, তবে তিনি দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১ ধারায় ফৌজদারি দায়ে অভিযুক্ত হবেন। সাসপেনশন / চাকরিচ্যুতি পেনশন/সুবিধা বাতিলসহ দুর্নীতি দমন আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনও প্রযোজ্য হতে পারে। সর্বোচ্চ শাস্তি আজীবন কারাদণ্ড, আর্থিক জরিমানা এবং চাকরিজীবন থেকে বহিষ্কার হতে পারে। এবিষয়ে ব্যাংকের এজিএম জিয়াউল ইসলাম নাগরীক বরিশালকে জানায় এবিষয়ে অডিট টিমের তদন্তের পরে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে সহকর্মীকে ফাঁসানোর এই প্রবণতা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি কতটা গভীর শেকড় গেড়েছে? সেটাই ভাবার বিষয়।সমালোচকরা বলছেন, এটি শুধু একটি ব্যাংক কেলেঙ্কারি নয়—বরং ক্ষমতাসীনদের আমলাতান্ত্রিক অপসংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/